পুরুষ এবং স্ত্রী উভয়েরই খুবই দরকারী অঙ্গ হল যৌনাঙ্গ। এই অঙ্গ ছাড়া মানুষের জীবন সফল নয়। পুরুষ তার যৌনাঙ্গের দিকে সবিশেষ যত্নবান হবেন, নয়তো তার বড় বড় রোগের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভবনা থাকতে পারে। একজন পুরুষ যেভাবে যত্ন নেবেন তার পুরুষাঙ্গের:
(১) বাবা-মায়েরা বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর থেকে লক্ষ রাখবেন ছেলের নুনুর অগ্রভাগে যেন হিসু জমে না থাকে।প্রয়োজনে পরিচ্ছন্ন কাপড় বা টিসু দিয়ে মুছে ফেলবেন।
(২) পুরুষ শিশুটির যখন ৩-৫ বছর বয়স হবে তখন উপযুক্ত সার্জেন দিয়ে লিঙ্গের আগার অতিরিক্ত চামড়া কেটে বাদ দেবেন। এর ফলে চামড়ার মধ্যে অতিরিক্ত ময়লা জমে মারাত্মক রোগের সৃষ্টি হবে না।
(৩) যতদিন না শিশু বড় হচ্ছে ততদিন বাবা-মা নিয়মিত জীবানুমুক্ত নরম সাবান দিয়ে ছেলের যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করবেন। খুব বেশি ঘসবেন না, বিশেষ করে অগ্রভাগে। যারা লিঙ্গের আগার চামড়া ধর্মীয় কারণে বাদ দেন না তারা চামড়াটিকে উল্টে সাবান মাখিয়ে নেবেন।
(৪) ছেলে যখন বয়ঃপ্রাপ্ত হবে তখন বাবা-মা তাকে উপদেশ দেবেন, নাভির নীচের এবং বগলের চুল মাসে অন্তত একবার করে পরিষ্কার করতে।
(৫) বয়ঃপ্রাপ্ত পুরুষ উপুড় হয়ে শুয়ে লিঙ্গটিকে শক্ত কিছুর উপর চেপে ধরবেন না (নিজের যৌনতা মেটানোর জন্য)। এতে আপনার লিঙ্গের ক্ষতি হতে পারে।
(৬) নিয়মিত জীবাণুমুক্ত নরম সাবান দিয়ে যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করবেন।
(৭) সর্বদা নরম কাপড়ের ও পরিষ্কার জাঙ্গিয়া ব্যবহার করবেন।
(৮) হস্তমৈথুন করবেন না। অনেকে খুব শক্ত করে চেপে ধরে হস্ত-মৈথুন করেন, যা একদম ঠিক নয়। এটি শরীরের উপরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এটি অনেক সময় শিরা-উপশিরার ক্ষতি করে।
(৯) যৌনাঙ্গের কোনো রোগ দেখা দিলে উপযুক্ত ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। অযথা দেরি করবেন না।
(১০) পুরুষাঙ্গ দিয়ে কখনই পিছন দিকে সঙ্গম করবেন না। এটা করলে নানা রকম সংক্রামক রোগ হতে পারে।
(১১) নিজের নির্দ্দিষ্ট সঙ্গিনী (স্ত্রী) ছাড়া অন্য যার তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করবেন না। মাসিকের সময় সঙ্গম এড়িয়ে যাবেন।
(১২) লোম নাশক ক্রিম ব্যবহারের সময় অল্প করে লাগিয়ে দেখবেন, ওটা আপনার চামড়ায় কোনো প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে কিনা। যদি করে ওই ক্রিম ব্যবহার করবেন না।
(১৩) অতিরিক্ত হস্তমৈথুনে আগা মেটা ও গোড়া সরু হয়ে যাবে। ফলে লিঙ্গের জোর কমে যাবে। তাছাড়া হস্তমৈথুন ধ্বজভঙ্গ রেগেরও একটি কারণ। এই রোগ হলে লিঙ্গ খাড়া হয় না। তাই এই অভ্যাস থাকলে বর্জন করুন।
(১৪) অনেকে হস্তমৈথুন করে কিছু বীর্য বার হতে দেয় না, শক্ত করে চেপে ধরে। এটি স্বাভাবিকের বিপরীত কাজ। এটি করবেন না।
(১৫) বেশি স্বপ্নদোষ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অবহেলায় আপনার পেনিস শিথিল হয়ে যেতে পারে। পরিশেষে সর্বদা মনে রাখবেন, পেনিস আপনার একটি মূল্যবান সম্পদ। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মত এরও যত্ন নেওয়া অতি প্রয়োজন। যত্রতত্র যার তার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হবেন না। সুখী দাম্পত্বের জন্য নির্দ্দিষ্ট আইনসঙ্গত একটি যৌনসঙ্গী (স্ত্রী) থাকা বাঞ্ছনীয়।
নিঃসন্দেহে আমাদের রয়েছে অভিজ্ঞ ডাক্তার যারা কিনা দেশ ও দেশের বাহিরে থেকে ডিগ্রী সম্পন্ন ।
Dr. M M Ali [Health Specialist & Nutritionist]
Dr. Rozina Akter Nilu [Specialist, Practitioners]
Dr. Jobayer