মিডিয়া আজ নারীকে পণ্য হিসেবে অ্যাবিউজ করছে। নারী এটা জানে। তবুও লম্পট পুরুষগুলো যখন তার টানটান আঁখিদ্বয়ের কিঞ্চিৎ প্রশংসা করে, কোমল ওষ্ঠদ্বয়ের প্রতি দুর্বলতা প্রকাশ করে, কামনীয় অঙ্গভঙ্গিকে প্রশংসার বানে ভাসিয়ে দেয়; তখন সেই প্রশংসার আবহে মেয়েটি এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে যায় যে, নিজের হীতাহিত জ্ঞান পর্যন্ত লোপ পেয়ে বসে। যার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন শিরোনামে পত্রিকার হেডলাইন হয় এসকল মেয়েরা।
আবার কিছু দুশ্চরিত্র প্রেমিক নামের কুকুর, অবলা নারীর এই দুর্বলতার সুযোগে তার সর্বস্ব লুটে নিয়ে জাস্ট নর্দমায় ছুঁড়ে ফেলে। সব খুইয়ে তখন বেচারি আত্মহননের ন্যায় আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিতেও ভেবে দেখার জোঁ পায় না। কী করবে আর বেঁচে থেকে? কেউ কি আছেন এর উত্তর দেয়ার মত?
প্রিয় বিবাহিত ভাইয়ারা! আপনার ঘরে যে মেয়েটির বসবাস, তার কোনো কাজের কিংবা রূপের একটু প্রশংসা কি কখনো করেছেন? চুপিসারে একটু ভালোবাসার স্নিগ্ধ ছোঁয়া কখনো দিয়েছেন তাকে?
তবে কেন সে আপনার তাবেদারি করবে? কেন আপনার জন্য নিজেকে সঁপে দেবে? শুধু কি ভাত-মাছ কিংবা জৈবিক চাহিদার জন্যই সব ছেড়ে সে আপনার কাছে এসেছে? নিজের পোস্টমর্টেম নিজে করুন। উত্তর মিলে যাবে।
তবুও আমার কথাটি আমি বলছি—ভাত-মাছের চাহিদা তো সার্বজনীন, এবং জৈবিক চাহিদাও অনস্বীকার্য। কিন্তু আপনি জানেন কি, একটি মেয়ে জৈবিক চাহিদার চেয়েও তার সাথে খুনসুটি করা, তাকে একাকী কিছু সময় দেয়া ও তার একটু প্রশংসা করাকে খুব বেশি কামনা করে? কেউ তার একটু প্রশংসা করুক, তাকে আজ কেমন লাগছে—বোকাবোকা শব্দে এসব বলুক, কেউ তাকে কতটা ভালোবাসে—এটা অকপটে প্রকাশ করুক, এটা সে খুব করে চায়।
মেয়েদের জৈবিক চাহিদা পুরুষের ন্যায় অতটা প্রকট নয়। একটি মেয়ে চাইলে কিছুটা কষ্ট হলেও কোন শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াই কেবল খুনসুটি ও হাসিখুশির মাঝে জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়ে দিয়ে পারে। কিন্তু শুধু শারীরিক সম্পর্ক দিয়ে নিজেকে চালিয়ে নিতে গেলে সে মৃতপ্রায় হয়ে পড়বে। শারীরিক চাহিদা মেয়েদের জন্য যদি খাবার তুল্য হয়, স্বামীর খুনসুটি ও সহাস্যমুখ হলো অক্সিজেন তুল্য। খাবার ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব, এটা ঠিক। কিন্তু অক্সিজেন ছাড়া?
এই খুনসুটি, সহাস্যমুখ, একটু ভালোবাসা ও প্রশংসা সে যেখানে পাবে, সেখানেই সে নিজেকে বিলিয়ে দেবে।
কারও হাত ধরে লাপাত্তা? পরকিয়া? এসবের কারণ এই একটিই। সামান্য একটু মেকি ভালোবাসার লোভে নিজের গুছানো সংসার ও সন্তান রেখেও পালিয়ে যেতে অনেকে দ্বিধা করে না।
আচ্ছা, আমরা কি পারি না! আমাদের ঘরের সেই মেয়েটির অকৃত্রিম অথচ সামান্য এই চাহিদাটুকু পূরণ করতে? একটু ভালোবাসা আর একগাল প্রসংশার লোভে দীর্ঘদিনের সাজানো সংসার ফেলেও যে মেয়েটি চলে যেতে পারে, সে যদি এই দুটি জিনিস আপনার কাছেই পেয়ে যায়, তাহলে সে আপনার কাছেও নিজেকে সঁপে দিতে বিন্দু পরিমান পিছপা হবে না, ইন-শা-আল্লাহ।
তবে হ্যাঁ, মেয়েদের বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না, এটা জানেন তো? কতক মহীয়সী নারী এমন আছে যে, নিজের এসকল অব্যক্ত চাহিদা নিজের ভেতর সুপ্ত রেখেই নিভৃতে ডুকরে কাঁদে। কাউকে কিছু বলে না, বলতে চায়ও না। এমনকি তার একান্ত মানুষটিকেও খুব সহজে কিছু বলতে চায় না। কেবল, চোখের বর্ণহীন ইশারায় কিছু বুঝাতে চায়।
এটুকুতেই যদি আপনি বুঝে নিতে পারেন তবে বেচারি ধন্য। ধন্য হবেন আপনিও। অন্যথ্যায় মেয়েটি অদৃশ্য অনলে জ্যান্ত দগ্ধ হতে হতে মৃতপ্রায় হয়ে পড়বে। মানসিক ভারসাম্য ক্রমশই হারিয়ে ফেলবে। আমৃত্যু বিভিন্ন অসুখে একেরপর এক আটকেই থাকবে।
আর এমন পেসেন্টও অহরহ দেখা যায়। অগণিত ডায়াগনোসিস করেও এর কোনো রিপোর্ট পাওয়া যায় না। ভুরি ভুরি মেডিসিন খেলেও কোন ইম্প্রুভ হয় না। হবেই বা কীভাবে বলুন? এ কি জীবাণুঘটিত কোন রোগ? এ যে ভালোবাসার শুণ্যতাঘটিত এক দুরারোগ্য ব্যধি! একটু ভালোবাসা আর হাসিমুখই পারে এর যথাযথ চিকিৎসা করতে।
এই সুচিকিৎসা যেদিন মিলবে, সেদিন থেকে সামাজিক আচার, চরিত্র ও নৈতিকতা অক্ষয় থাকবে এবং পৃথিবী একটি স্বচ্ছ সমাজ উপহার পাবে। ইন-শা-আল্লাহ। || অন্দরমহল-৩ || বই: রিমেডি- একটি পারিবারিক মেডিসিন লেখক: ডা. জাফর বিপি
নিঃসন্দেহে আমাদের রয়েছে অভিজ্ঞ ডাক্তার যারা কিনা দেশ ও দেশের বাহিরে থেকে ডিগ্রী সম্পন্ন ।
Dr. M M Ali [Health Specialist & Nutritionist]
Dr. Rozina Akter Nilu [Specialist, Practitioners]
Dr. Jobayer
1 Comment
Good Concept.