যৌনমিলন আল্লাহর নিআমতসমূহের মধ্যে একটি নিআমত। আলিমের নিকট শুনেছি, জান্নাতের সুখগুলাের মধ্যে এই একটি সুখের অসীমাংশের ছােট একটি স্যাম্পল দুনিয়াতে দেয়া হয়েছে। আর এজন্যই মানুষ হন্যে হয়ে থাকে। খুন-ধর্ষণ-অপহরণ-পতিতাবৃত্তি-ব্যভিচার-পরকীয়াসহ কত অপরাধের জন্ম দেয় এই কয়েক মুহূর্তকাল জান্নাতী সুখের ক্ষুদ্রতম অংশটির জন্য। পরিপূর্ণ মিলন যেমন দেহমনকে চাঙ্গা করে সুস্থ জীবন নিশ্চিত করে, ব্যর্থ মিলনও উদ্বিগ্নতা, দুশ্চিন্তা সহ বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক রােগের কারণ হতে পারে।
মিলন একটা শিল্প। আমি একটা ফর্মুলা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। মেডিকেল সেক্স নলেজ, আলিমগণের আলােচনা ও বিভিন্ন সময় পরীক্ষামূলক কিছু টেকনিক যা আমি অন্যদের প্রেসক্রাইব করেছি ও ভালো ফিডব্যাক এসেছে, তার আলােকে।
১. কিছু বেসিক জ্ঞান
২. চর্চা
৩. এক্স ফ্যাক্টর (এক এক কাপলের নিজস্ব কিছু পছন্দ আছে, যা সঙ্গীকে আবিষ্কার করে নিতে হয়)
এই তিন জিনিস একসাথে হলেই আপনি পাবেন উভয়ের চরমতৃপ্তির সমন্বয়ে দেহমন চনমনে মিলন। আর একএকটা পারফেক্ট সেক্স আপনাকে দিবে:
– সুস্বাস্থ্য
– প্রফুল্লতা ও দৃঢ় আত্মবিশ্বাস
– কর্মোদ্যম
– নজরের উপর শক্ত কন্ট্রোল
– নরম মেজাজ
– বাধ্য সােহাগিনী স্ত্রী
– নামাযে ধ্যান ও মন নিয়ন্ত্রণ
-পূর্ণ ঘুম
পরিভাষা শুরুতেই আমরা কিছু পরিভাষার সাথে পরিচিত হব, যেগুলাে আমরা পুরাে নােট জুড়ে ব্যবহার করব। ভালাে করে বুঝলে নােটটা বুঝতে সহজ হবে।
১. অর্গাজম : চরমপুলক/ চরমানন্দ। পুরুষের বীর্যপাতের সময় পুরাে শরীর কেঁপে ওঠে, মাথা খালি হয়ে যায়, ওটাই অর্গাজম। মহিলাদেরও অর্গাজম হয়। আপনি বুঝতে পারবেন। যখন স্ত্রীর আলিঙ্গন হঠাৎ কঠিন হয়ে যাবে, আবেশে চোখ বন্ধ হবে, আপনাকে জোরে জোরে করতে বলবে, যােনিরসের পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে যাবে, মাথা খালি হয়ে যাবে, কেঁপে কেঁপে উঠবে তারপর হঠাৎই শরীর ছেড়ে দেবে, বুঝবেন অর্গাজম হচ্ছে। পুরুষের অনূর্ধ্ব ৫-৭ সেকেণ্ড আর মহিলাদের ৫-১০ সেকেণ্ড হয়। কোন পরিবারে প্রচুর সন্তান থাকাটাই স্ত্রীর যৌনতৃপ্তির আলামত না৷ অনেক মহিলা অর্গাজমের আগে যে সামান্য সামান্য মজা লাগে তাকেই মিলনসুখ মনে করে সারাজীবন কাটিয়ে দেন। ৮/১০ টা সন্তানের জন্ম দেন। তৃপ্তি কি তা আর জানাই হয় না কোনদিন।
২. ফোরপ্লে : লিঙ্গ যােনিতে ঢুকানাের আগে স্ত্রীকে যেভাবে আদর সােহাগ করা হয়। চুম্বন, স্পর্শ(touch), দলন (fondle), পেষণ (squeeze), লেহন (licking), চোষণ (sucking) এ সবকিছুই ফোরপ্লে। মানে ‘মেইনপ্লে’ র আগে যা করবেন সবই ‘ফোরপ্লে’। বাংলায় বলে ‘শৃঙ্গার’।
৩. পেনিট্রেশন : লিঙ্গ যােনিতে প্রবেশ করানাে।
৪. ইরেকশন: লিঙ্গ শক্ত হওয়া। লিঙ্গ কোন হাড্ডি না। এটা বিশেষ ধরনের জিনিস। রক্ত ঢুকে বড় হয়, শক্ত হয়। আবার রক্ত বেরিয়ে গেলে নরম হয়ে যায়। তাই রক্ত ও রক্তনালীকেন্দ্রিক অসুখবিসুখের কারণে পুরুষত্বহীনতা দেখা দিতে পারে।
ফোরপ্লে বাসায় যাবার আগে ফোনে ইঙ্গিত দিবেন: আমি আসছি, তােমাকে আমার দরকার। আপনার এই ইঙ্গিতেই আপনার স্ত্রী মানসিকভাবে তৈরি হতে থাকবে। উঠতে বসতে কাজের ফাঁকে আপনার কথা, আপনার আদর সােহাগের ফ্ল্যাশব্যাক তার মনে হতে থাকবে। তার শরীর সেক্সের জন্য রেডি হতে থাকবে। এজন্য সেক্সের একঘন্টা আগে স্ত্রীকে জানান যে, আজ পাশা খেলা হবে।
পুরুষ মানুষ নতুনত্ব চায়। আগে থেকে জানালে সে আপনার জন্য সাজবে। সাজার জিনিসপত্র কিনে দিন।যেমন মনে চায় বউকে দেখুন, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখুন।আপনার নজর ও ঈমানের হেফাজতে বউয়ের সাহায্য নিন।
আপনি সহবাসের আগে যেমন সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় ঘর্মাক্ত-ক্লেদাক্ত এবং দুর্গন্ধ অবস্থায় আপনার স্ত্রীকে চান না, সেও আপনাকে ঐ অবস্থায় কামনা করে না। তাই অফিস/ব্যবসা থেকে ফিরে যদি ঘর্মাক্ত থাকেন তবে সহবাসের আগেও গােসল করে নিন। নিজেকে ফ্রেশ করে স্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করুন।
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরে ঢুকে সবার আগে মিসওয়াক করতেন। মুখে দুর্গন্ধ নিয়ে সহবাস করবেন না। স্ত্রী হয়ত কিছু মুখে বলবে না, সহ্য করবে। এটা যেমন আপনার অপছন্দ, তারও অপছন্দ। তাই সেক্স করার আগে বা ঘরে ঢুকেই প্রথমে মিসওয়াক করার সুন্নাহ জিন্দা করুন৷
হামলে পড়া পুরুষত্ব নয়। নিয়ন্ত্রণের নাম পুরুষত্ব। যার নিজের ওপর যত নিয়ন্ত্রণ সে তত পুরুষ।ধর্ষকদের আমি পুরুষই মনে করি না। স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার দিকে খেয়াল রাখবেন। অসুখবিসুখ, মানসিক কষ্টে থাকাকালে আপনি চাইলে সে হাদিসমতে দিতে বাধ্য। কিন্তু সেক্স কি জোর করে আদায়ের জিনিস। সেক্স তাে ভালােবাসার জান্নাতী চূড়া।
নিজ স্ত্রীকে দেখুন। প্রাণভরে দেখুন। স্ক্যান করুন। আর বললাম না। বাইরে সব দেখা হয়। শুধু নিজের বউকে দেখা হয়ে ওঠে না। যত কুদৃষ্টি সব স্ত্রীর দিকে দিন। ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকাকালে তাকে সবটুকু কামনা দিয়ে দেখুন। যারা বিভিন্ন যৌনসমস্যায় ভুগছেন, কঠোর নজরের হিফাজত করুন আর নিজ স্ত্রীকে স্ক্যান করার মাধ্যমে আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলুন। লিঙ্গ নিস্তেজ, মাঝপথে নরম হওয়া, কামেচ্ছা কমে যাওয়া এগুলাের একটা বড় কারণ নজরের খিয়ানত আর নিজ স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ না থাকা।
fপুরুষের স্পর্শকাতর জায়গা হাতে গােনা কয়েকটা। লিঙ্গ আর অণ্ডকোষ(থলি)। বিশেষ করে আমাদের লিঙ্গের অগ্রভাগ। আরেকটা আছে যেটা সাধারণত ব্যবহৃত হয় না। তবে লিঙ্গকে শক্ত করায় এর সিরিয়াস ভূমিকা আছে। সেটা হচ্ছে পুরুষের নিপল। লজ্জা পাবেন না। অস্বস্তিকর মনে হলেও সত্য এটাই। আল্লাহ কোন কিছুই এমনি এমনি বানাননি। আমি পুরুষের নিপলের কাজ খুঁজে পাচ্ছিলাম না, আল্লাহ কেন দিলেন। অবশেষে পেয়েছি। আপনি যেভাবে আপনার স্ত্রীর নিপলকে আদর করেন, আপনার স্ত্রীও তেমন করে আপনার নিপলকে আদর করবে। বিশেষ করে যাদের লিঙ্গ দ্রুত নরম হয়ে যায়/ শক্ত হতে দেরি হয় তাদের জন্য দারুণ কৌশল। সুইচের মত কাজ করে। শুরুতে অস্বস্তি লাগলেও পরে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। যাদের সমস্যা নেই তারাও মিলনের আনন্দ বাড়াতে এটা করতে পারেন।
মেয়েদের দেহের স্পর্শকাতর জায়গা আমাদের মত দু’একটা না। তাদের পুরাে দেহজুড়েই উত্তেজনা। আপনি যদি আপনার স্ত্রীর হাতের বুড়াে আঙুলটাও চুষতে থাকেন তাতেই তার যােনি ভিজে উঠবে। বিশেষ করে শরীরের ভাঁজগুলাে (আঙুলের ভাঁজ/কনুইয়ের ভাঁজ), কানের লতি, ঘাড়, গলা, নাভি, কোমর, উরু, নিতম্ব।
তার স্তন/ ঠোঁট/নিতম্ব এসবের প্রশংসা করুন। বিছানায় তার পারফর্মেন্সকে এপ্রিশিয়েট করুন। তােমার গতকাল চুমুর রেসপন্স দারুণ ছিল। সে তাহলে সেক্সে আরও একটিভ হবে।
প্রথমেই স্তনে মনােযােগ দিবেন না৷ ফোরপ্লের শুরুতে বাকি সেনসেটিভ জায়গা (গলা/ঘাড়/কান/ ঠোঁট/হাত/পিঠ) ভ্রমণ শেষে স্তনে আসবেন। ধীরে ধীরে তার পুরাে শরীরকে জাগিয়ে তুলুন। আগেই বলেছি মেয়েদের পুরাে শরীরেই যৌনতা। হাত দিয়ে আলতাে স্পর্শ, চুমু, জিভ দিয়ে তার সব কাতর জায়গাগুলাে পরিভ্রমণ শেষ করে তারপর স্তনে আসুন। এক এক মেয়ের এক এক উইক পয়েন্ট থাকে। কারাে লতি, কারাে ঘাড়, কারাে নাভি। আপনার স্ত্রীর উইক পয়েন্ট খুঁজে বের করুন। সারা শরীর পরিভ্রমণের সময় স্তন হালকা মর্দন করুন বা কাপড়ের উপরেই যােনিতে হাত বুলান। একসাথে মাল্টিপল স্টিমুলেশান (একাধিক জায়গায় উত্তেজনা সৃষ্টি) দেবার চেষ্টা করুন। সবসময় সমান টাইম থাকে না। অনেকসময় শরীর ক্লান্ত থাকে বলে এত ইচ্ছাও করে না। তখন তিনটা জায়গা ফোরপ্লের জন্য বাছাই করুন।
যােনিতে হাত বুলানাে, স্তন ও বিশেষ সেই উইকপয়েন্ট যা আপনাকে আবিষ্কার করতে হবে। জিগেস করতে পারেন, কি করলে তােমার সবচেয়ে ভালাে লাগে। যত ফোরপ্লে আপনি করবেন, যুদ্ধে আপনি তত এগিয়ে থাকবেন। সবচেয়ে ভাল হল, যতক্ষণ সে না বলবে ‘ঢুকাও’ ততক্ষণ ফোরপ্লে চালিয়ে যাওয়া। বেশি ফোরপ্লে করলে মেইনপ্লে অল্প করতেই তার অর্গাজম হয়ে যাবে। আপনি জিতে গেলেন। বিশেষ করে যারা বেশিক্ষণ বীর্য ধরে রাখতে পারেন না, তারা ফোরপ্লে বেশি করার চেষ্টা করবেন। তাহলে মেইনপ্লে কম করতে হবে। স্তন সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গা। সব মেয়েরই কমন উইকপয়েন্ট। এটা নিয়ে আপনি হাত দিয়ে,জিভ দিয়ে খেলবেন। কখনাে একটাতে জিভ একটায় আঙুল, আরেক হাত যােনিতে বুলানাে।
মাল্টিপল স্টিমুলেশনে মেয়েরা সহজে কাবু হয়ে যায়।। যাদের এত লম্বা ফোরপ্লে টাইম শক্ত থাকে না, তারা লম্বা ফোরপ্লে করবেন না। আপনার শক্তহলেই আর স্ত্রীর একটু ভিজলেই ঢুকিয়ে দিন বা নরম হয়ে গেলে স্ত্রীকে আপনার নিপল আদর করতে বলুন। আবার শক্ত হয়ে যাবে। যদি এই টেকনিক কাজ না করে তবে আগেরটাই ফলাে করুন। শক্ত হলেই ঢুকিয়ে দিন। মেয়েদের অর্গাজম তিন প্রকার। – ক্লাইটোরিস অর্গাজম । – ভ্যাজাইনা বা যােনিগাত্র অর্গাজম (জি-স্পট) – সারভাইকাল অর্গাজম যােনির উপরের প্রান্তে বোঁটার মত একটা জিনিসকে ক্লাইটোরিস/ ভগাঙ্কুর বলে। আপনি যদি শুধু ক্লাইটোরিস আঙুল দিয়ে নাড়তে থাকেন, একটা পর্যায়ে অর্গাজম হবে। তবে এটা অর্গাজমগুলাের মধ্যে কম মজা। এটাকে ক্লাইটোরাল অর্গাজম বলে। বাকি দুটোর কথা পরে বলছি। ক্লাইটোরিস নাড়াচাড়া করে আপনি স্ত্রীর অর্গাজমটাকে একটু এগিয়ে রাখতে পারেন। ফলে ঢুকানোর পর ফুল অর্গাজমের জন্য বেশি সময় নেবে না।
যারা বীর্য বেশি ধরে রাখতে পারেন না, তারা এটা করে স্ত্রীর তৃপ্তি এনসিওর করতে পারেন। তবে নাড়াতে নাড়াতে অর্গাজম করে দেবেন না।কারণ বাকি দুটো অর্গাজমে বেশি মজা। সবসময় এত অর্গাজমের সময় থাকেনা বা পুরুষও এতখন শক্ত থাকেনা। ব্লোজব বা লিঙ্গ চোষানাে খুবই বাজে জিনিস। নােংরা কাজ। একদম করবেন না। ঐমুখ দিয়ে আপনার বিবি কুরআন তিলওয়াত করে, যিকির করে। খবরদার এটা করাবেন না। আর এটা দেখতেই ভাল লাগে। আসলে মােটেই অতটা মজা লাগে না। তাছাড়া পর্নোতে নারীদের উপর প্রভাব খাটানাে। বুঝাতে (ডােমিনেন্স) এটা করা হয় অপমানসূচক ভাবে।
ঘরের বউ আপনার সম্পদ, আপনার অহংকার, আপনার ইজ্জত৷ ওরা বেশ্যাদের সাথে যা করে, আপনি বউয়ের সাথে তা করতে পারেন না। তাছাড়া লিঙ্গ চোষা, যােনি চোষা এগুলােতে অসুখবিসুখের সম্ভাবনা থাকে। সবচেয়ে বড় কথা, এটা কোন কথা হলাে? পেনিট্রেশন যখন স্ত্রী ঢুকাতে বলবে তখন ঢুকানাে বেস্ট। না হয়, যােনি ভেজা মানেই যােনি এখন লিঙ্গ নেবার জন্য তৈরি। শক্তভাব হারিয়ে যাবার ভয় থাকলে শক্ত হলেই ঢুকিয়ে দিন। একবারে শুকনা শুকনা ঢুকালে ব্যথা পাবে। একটু ঢােকান, আবার বের করুন। এভাবে একটু একটু করে ঢুকান।
এভারেজ বাঙালি পুরুষের লিঙ্গ ৫.৫- ৬.৫ ইঞ্চি। আর মেয়েদের যােনিপথের গভীরতা ৩- ৪ ইঞ্চি,যা উত্তেজনায় কিছুটা বাড়তে পারে বেলুনের মত।এরপর সারভিক্স শুরু। মানে ৩-৪ ইঞ্চি লিঙ্গ হলেই আপনি স্ত্রীকে সর্বোচ্চ অর্গাজম (সারভাইকাল) দিতে পারবেন। সুতরাং লিঙ্গের দৈর্ঘ্য নিয়ে মােটেই টেনশন নেই। বরং বেশি বড় লিঙ্গ পুরাে প্রবেশ করালে বেচারী ব্যথা পেতে পারে। পর্নো দেখে একটা ধারণা হয়ে যায়, যত বড় মনে হয় তত মজা পায় মেয়েরা। ভুল ধারণা। অভিনয়ে সুখ ফুটিয়ে তুলতে হয় কষ্ট পেলেও মাত্র ৩ ইঞ্চি লিঙ্গ দিয়েও নারীকে পূর্ণ অর্গাজম করানাে সম্ভব। নাে টেনশন, ডু ফুর্তি।
তবে লিঙ্গের বেড়/ঘের/প্রস্থ ভাল জিনিস। বেড় বেশি হলে যােনিগাত্রে ভালভাবে ঘষা লাগে। ফলে যােনিগাত্র অর্গাজম/জি-স্পট অর্গাজম তাড়াতাড়ি হয়। হস্তমৈথুনে লিঙ্গের বেড় কমে যায়। গােড়ার শক্তি কমে যায়। তবে এরও উপায় আছে। কলিকাতা হারবাল, লিঙ্গ মােটা করুন, গন্ধগােকুল তেল এসব করে নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন। না। আপনি একদম সুস্থ। আল্লাহ আপনাকে যা দিয়েছেন তা দিয়েই স্ত্রীর মাথা ঘুরিয়ে হসপিটালে ভর্তি করা সম্ভব। দরকার শুধু টেকনিক আর চর্চা।।
যােনিগাত্রের সামনের দেয়ালের ভিতরদিকে ২ ইঞ্চি উপরে একটু উঁচু মাংসপিণ্ড থাকে। আঙুল দিলে পাওয়া যায়। খসখসে লাগে। এর নাম জি-স্পট। লিঙ্গ চালনার সময় এতে বার বার ঘষার ফলে যে অর্গাজম হয়। তাকে বলে ‘জি-স্পট অর্গাজম’।এটা ক্লাইটোরিস অর্গাজমেরচেয়ে বেশি তৃপ্তিদায়ক, গভীর।মানে আপনার লিঙ্গ ২ ইঞ্চি হলেও আপনি স্ত্রীকে তৃপ্তি দিতে পারবেন। যাদের ঘের কম/বেশি, দুদলই চেষ্টা করবেন যােনির সামনের দেয়ালে ঘষা দেবার। সামনে থেকে করলে উপরমুখী এঙ্গেলে। আর পিছন থেকে করলে নিচমুখী এঙ্গেলে চালনা করতে হবে। তাহলে অল্প সময়ে অর্গাজম করানাে যাবে। কোমরের নিচে বালিশ দিয়ে নিলে হিটগুলাে উপরমুখী হবে এমনিতেই। ভালোভাবে ফোরপ্লে করে নিলে ঢুকানাের পর ২/৩ মিনিটই যথেষ্ট যদি কৌশলগুলাে জানা থাকে।
আরেকটা অর্গাজম যেটা সবচেয়ে গভীর, পুরাে শরীর অংশ নেয়, সবচেয়ে তৃপ্তি, সেটা হলো সারভাইকাল অর্গাজম। যােনিপথের শেষপ্রান্তে ঠোঁটের মত জরায়ুর যে অংশ তাকে সারভিক্স বলে। -এই সারভিক্সে লিঙ্গের অগ্রভাগ লাগানােকে বলে “সারভাইকাল কিস/চুম্বন”। লিঙ্গে এই সারভাইকাল কিস নিতে নিতে একসময় অর্গাজম হয় যা একবারে ভিতর থেকে সারা শরীর কাঁপিয়ে। এটাই সারভাইকাল অর্গাজম। আপনি লিঙ্গের আগায় অনুভব করতে পারবেন সারভিক্স, একটু এবড়ােখেবড়াে অনুভব হবে। লিঙ্গ মােটা হলে অনেক সুবিধা একই সাথে তিন প্রকার অর্গাজম করানাের মত স্টিমুলেশন দেয়া যায়। না হলেও সমস্যা নাই।
টেকনিক করে এঙ্গেলে করতে থাকেন। জি-স্পট আর সারভিক্স টার্গেট করেন। —ঢুকিয়েই রক মেটাল শুরু করবেন না। লিঙ্গ ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকুন। তাকে বেড় ফিল করতে দিন। এরপর আস্তে আস্তে শুরু করুন। ঘষা দিয়ে দিয়ে। প্রথমেই মেটাল দিলে সে কিছুই বুঝবে না। আপনিও তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যাবেন।যখন সে নিজে ইশারা করবে তাড়াতাড়ি করার। আর বিভিন্ন মেয়ের ভালাে লাগার রিদম/তাল/গতি আলাদা।
এজন্য আপনার স্ত্রীর কোন তালটা সবচেয়ে প্রিয়, কোন গতিতে করলে তার বেশি ভালাে লাগে সেটা আবিষ্কার করুন, জেনে নিন। সেই তালটা ধরে রাখুন। উইন দ্য রেস। –মাল্টিপল স্টিমুলেশন দিন। নিচে মিলন চলুক। আর উপরে ঠোঁট বা নিপলে বা গলায় মনােযােগ দিন। প্রতিপক্ষ দ্রুত পরাজিত হবে।
–লিঙ্গ পুরাে বের করে করে লম্বা লম্বা স্ট্রোক দেবেন না। এতে আপনি তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যেতে পারেন। প্রথমে হালকা কয়েকটা লম্বা স্ট্রোক দিয়ে যত গতি বাড়াতে থাকবেন তত স্ট্রোকের দৈর্ঘ্য কমিয়ে দিন। সারভাইকাল কিস দেবার জন্য পুরাে বের করে আনার দরকার নেই। ভিতরে রেখে অল্প বের করে ঘন ঘন সারভাইকাল কিস দিতে থাকুন। তাহলে আপনিও ক্রিজে বেশি সময় থাকতে পারবেন। প্রতিপক্ষ দ্রুত আউট হয়ে যাবে।
—অনেকসময় ঢুকানাের পর ভিতরে নরম হয়ে যায়। এটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। ব্যর্থ সেক্স অনেক কারণে হয়। পরে আলােচনা আসবে। আগে সফল করে নিই। ভিতরে ঢুকানাে অবস্থাতেই বা বের করে আপনার নিপল স্টিমুলেট করাতে পারেন। তাহলে ভিতরে থাকা অবস্থায়ই আবার শক্ত হয়ে যাবে। টেনশন ফ্রী থাকবেন। টেনশন, আমি কি পারব না পিরবােনা- এসব চিন্তা বাদ দিন।
—কেন কোন মেয়ে একটু রাফ পছন্দ করে। মানে কঠিন আলিঙ্গনের মাঝে খেলা পছন্দ করে। আবার কেউ আলতাে ছোঁয়ায় ছোঁয়ায় খেলা পছন্দ করে। জেনেবুঝে নিন।
–পজিশনের মধ্যে মিশনারী পজিশন, মানে সামনা সামনিই ভাল। পর্নোতে বহু পজিশন দেখায়।ওগুলাে দেখতেই ভালে লাগে। আসলে বেশি মজা না। মিশনারী পজিশনে ঠোঁট-স্তন এগুলা সব নাগালে পাওয়া যায়। দুজনই এক্টিভ থাকা যায়। তার অর্গাজমে সে আপনাকে পুরাে পায়। আপনার সময় আপনি তাকে পুরাে পান। বাকিগুলােতে মাল্টিপল স্টিমুলেশনও দেয়া যায় না। হাতির বড় দাঁত দেখাই যায়। ওতে কামড় চলে না।
—স্ত্রীর অর্গাজমের সময় তাকে জড়িয়ে ধরুন। চুমুতে ভরিয়ে তুলুন। শারীরিক তৃপ্তির সময়টাতে তাকে মানসিক তৃপ্তি ও আস্থা দিবে আপনার চুম্বনগুলাে।
—যখন মনে হবে আপনি আর ধরে রাখতে পারছেন না, তখন মনোযােগ সরিয়ে নেবেন। ব্যবসায়িক হিসেব নিকেশ, দেনা-পাওনা, বিশ্বরাজনীতি এসব নিয়ে ভাবুন। হাসবেন না। সিরিয়াসলি। কিছুক্ষণ পরই আবার নিজেকে ফিরে পাবেন। আবার মনােযােগ খেলায় ফিরিয়ে আনুন। স্ত্রীর অর্গাজম আগে করানােই আপনার লক্ষ্য। এটাই যুদ্ধ যেখানে দুজন দুজনাকে সুখ দিতে চায়।
—স্ত্রীকে অর্গাজম করাতে পারলে আপনার নিজের অর্গাজমও বহুগুণে বাড়বে। স্ত্রীকে সুখ পেতে দেখে আপনার মানসিক তৃপ্তি যােগ হবে শারীরিক তৃপ্তির সাথে। আপনি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন। আরও আত্মবিশ্বাসী হবেন যদি স্ত্রীকে প্রতিবারই একাধিক অর্গাজম উপহার দিতে পারেন।
–মেয়েদের একাধিক অর্গাজম হলে সুখের আবেশে মাথা ঘুরে। এজন্য খুব বেশি অর্গাজম করাবেন না। নিজেকে ধরে ধরে খেললে আপনি ৩০/৪০ মিনিটও খেলতে পারবেন। কিন্তু এই ৩০ মিনিটে স্ত্রীর অর্গাজম করানাে সম্ভব (চর্চা করলে) অন্তত ৫-৭ বার। কিন্তু সমস্যা হল তাহলে সে সারাদিন কোন কাজই করতে পারবে না। পড়ে পড়ে ঘুমাবে। শুকনা পাতলা হলে হাসপাতালে নেয়াও লাগতে পারে। তাই ২/৩ বারের বেশি অর্গাজম না করানােই ভাল। এজন্যই মনে হয় একাধিক বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
—দ্বিতীয়বার অর্গাজম করাতে আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে। একটু রেস্ট নিতে পারেন যদি লিঙ্গ ঘুমিয়ে পড়ার ভয় না থাকে। আপনার অর্গাজম দেরিতে করবেন। পুরুষের অর্গাজম/বীর্যপাত হয়ে গেলে আর ওকে জাগানাে যায় না সাথে সাথে। আর পুরুষ ২ বার বীর্যপাত করলেই প্রচণ্ড ঘুম পায় হরমােনের কারণে। ২ বারের বেশি করলে আপনি সারাদিন ঘুমিয়ে কাটাবেন। এজন্য পুরুষঃস্ত্রী। অর্গাজম হওয়া দরকার ১:১ বা ১:২ বা ১:৩
—আপনার একবার বীর্যপাত হবার পর যদি আবার করতে চান তবে মাঝে উযু করে নেবেন (হাদিস)।
—সেক্স শুরুর আগে দুজনই প্রস্রাব করে নেবেন। নাহলে তাড়াতাড়ি বীর্যপাত হয়ে যাবে।
—ছেলেদের সেক্স ওঠে দেখে। আর মেয়েদের ওঠে স্পর্শে। তাই ঘরে ডিমলাইট থাকলে ভাল। একদম উলঙ্গ হয়ে না করাই ভাল। কাপড় দিয়ে নিজেদের ঢেকে নেবেন।
নিঃসন্দেহে আমাদের রয়েছে অভিজ্ঞ ডাক্তার যারা কিনা দেশ ও দেশের বাহিরে থেকে ডিগ্রী সম্পন্ন ।
Dr. M M Ali [Health Specialist & Nutritionist]
Dr. Rozina Akter Nilu [Specialist, Practitioners]
Dr. Jobayer