ক্যাগেল এক্সারসাইজের বিস্তারিত
(আপডেটেড/FAQ/সহজ নিয়মসহ)
নিয়মিত পর্নগ্রাফি দেখা এবং হস্তমৈথুন করার ফলে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাগুলো দেখা দেয় সেগুলো হচ্ছে দ্রুত বীর্যপাত এবং লিঙ্গোত্থানজনিত সমস্যা । পর্নাসক্ত কিন্তু এই সমস্যাগুলো পরবর্তী জীবনে ফেইস করেনি এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। গ্রুপে নিয়মিত এই দুটি সমস্যার প্রতিকার চেয়ে পোস্ট দেখা যায়। যারা এ সমস্যা দুটোতে ভোগে একমাত্র তারাই জানে কতটা কষ্টে তাদের দিন যায়। অনেক ক্ষেত্রে পর্ন থেকে বের হতে পারলেও, পর্ন আর হস্ত মৈথুনের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ব্যাপক বেগ পেতে হয়। বিবাহিত জীবন তখন জান্নাতে পরিণত হবার বদলে পরিণত বিভীষিকায়। তবে যেসব ভাইয়েরা পর্নের আসক্তি থেকে বের হয়ে বিয়ের স্বপ্ন দেখছেন তাদের এই সমস্যা দুটো কাটিয়ে উঠার জন্য এক যুগান্তকারী ব্যায়াম রয়েছে। আজকে সেই ব্যায়াম সম্পর্কেই কিছু প্রশ্নের উত্তর দিব ইনশা আল্লাহ।//পর্নাসক্তি থেকে মুক্ত হবার সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন হল, হয়ে যাওয়া ক্ষতিগুলো থেকে রিকোভারি। অনেকে পর্ন থেকে আর হস্ত মৈথুন করতে করতে বিষয়গুলোকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যায় রিকোভারি ব্যাপক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। যেহেতু রিকোভারি প্রসেস একটু সময়সাপেক্ষ অনেকেই অধৈর্য হয়ে পড়ে। একদিন এই হারবাল অন্যদিন ওই হারবাল কোথাও যাওয়া আর বাদ থাকে না। টাকা-সময় দুটোই যায় কিন্তু ফল আর আসে না(দেশের সবচেয়ে বেশি ভুয়া চিকিৎসা এদুটো সমস্যাকে কেন্দ্র করেই)। আচ্ছা কেমন হত যদি প্রতিদিন মাত্র ১০মিনিট সময় দিয়ে কোন কষ্ট করা ছাড়াই এ সমস্যা দুটি থেকে মুক্তি পেতে পারেন? কোন গালগল্প কিংবা চাপা ছাড়ছি না! ইনশা-আল্লাহ সম্ভব এটি।//
প্রশ্নঃ ক্যাগেল ব্যায়াম ও এটার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাই?
-প্রসাবে সমস্যা,দ্রুত বীর্যপাত, লিঙ্গোত্থানজনিত সমস্যাসহ আরও অনেক সমস্যার জন্য কার্যকরী এক ব্যায়াম হল-ক্যাগেল ব্যায়াম।ব্যায়ামটি পুরুষ মহিলা উভয় ই করতে পারেন। ১৯৪৮ সালে আর্নল্ড ক্যাগেল ব্যায়ামটি সবার সামনে আনেন। এরপর থেকে বহু গবেষণায় এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিদিন মাত্র ১০মিনিট করে এই সহজ ব্যায়াম আপনাকে মুক্তি দিতে পারে অনেক সমস্যা থেকে। কোন ঔষধ যেখানে দ্রুত বীর্যপাতের পার্মানেন্ট সমাধানে ব্যর্থ যেখানে আশার আলো দেখায় “ক্যাগেল ব্যায়াম”। টানা ৬মাসের ব্যায়ামে ৭গুন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করতে সক্ষম [১]। তেমনি লিঙ্গোত্থানজনিত সমস্যায় সমাধান দিতে পারে ক্যাগেল [২]। যাদের প্রসাবের সমস্যা। হাঁচি-কাশি দিলেই মনে হয় প্রসাব বেরিয়ে যাবে তাদের জন্যে ক্যাগেল ব্যায়াম মহাকার্যকরী[৩]। ক্যাগেল অবশ্য আবিষ্কৃত হয়েছিল মহিলাদের জন্য। তবে এটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই সমান কার্যকরী।[৪] পোস্টের একদম নিচে রিসার্চ পেপারের লিঙ্ক দেয়া হয়েছে।শ্রোণী মেঝের পেশী অনেক কারণে ক্ষতিগ্রস্থ বা দূর্বল হয়ে যেতে পারে। যেমন প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডে টিউমার বা অন্য কোনো সার্জারী, ডায়াবেটিকস ইত্যাদি। ক্যাগেল ব্যায়াম পুরুষদের পেলভিস ফ্লোরের মাসল শক্তিশালী করে- যখন তখন প্রস্রাবের বেগ, ঠিক মতো প্রস্রাব না হওয়া, দ্রুত বীর্যপাত, লিঙ্গোত্থানজনিত সমস্যাসহ আরো অনেক রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। ক্যাগেল ব্যায়াম শ্রোণী মেঝের পেশী(Pelvic floor muscle) সুসংগঠিত করে মূত্রসংবহনতন্ত্র, বৃহদন্ত্র ও পায়ুপথের কার্যপ্রণালী জোরদার করে এবং যৌন ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে পারে।
প্রশ্নঃ ক্যাগেল ব্যায়াম কিভাবে করে বিস্তারিত জানান?
-ব্যায়াম করার আগে ঠিকমতো প্রস্রাব করে নেবেন। প্রথম দিকে উচিত হবে মেঝেতে শুয়ে শুয়ে এই ব্যায়াম করা। শুয়ে পেলভিক ফ্লোর মাসল ৩ সেকেন্ড চেপে ধরে রাখুন রাখুন, তারপর ৩ সেকেন্ড শিথিল করে রাখুন। এভাবে টানা কয়েকবার করবেন। আর পালস ক্যাগেলের জন্য একবার খুব দ্রুত চেপে ধরবেন আর তারপরেই শিথিল করবেন। অ্যাপে দেখানো সময় অনুযায়ী করতে থাকবেন। মাসল ধীরে ধীরে শক্তিশালী হতে শুরু করলে বসে, দাঁড়িয়ে বা চলন্ত অবস্থায়ও করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ যে নিয়ম বললেন তা কিছুই বুঝি নি সহজভাবে বলুন একটু?
-ধরুন, আপনি পার্টিতে অনেক মানুষের সামনে আছেন বা নামাজের মধ্যে আছেন।খুব জোরে পাদ আসল। এখন নিশ্চয় কিছু পেশির মাধ্যমে পায়ুপথকে সংকুচিত করে পাদ আটকিয়ে রাখবেন? এই যে আপনি যেভাবে পাদ আটকিয়ে রাখছেন এটাই হল পেলভিক ফ্লোর মাসলকে চেপে ধরা( Squeeze)।ভাববেন পাদ আসছে। এই কাল্পনিক পাদ ৩সেকেন্ড আটকিয়ে রাখবেন তারপর ৩সেকেন্ড নরমাল থাকবেন। এটাই হল ক্যাগেল ব্যায়াম।এটাও যদি কঠিন মনে হয় তাহলে ভাবুন আপনি ঢাকা থেকে সিলেট যাচ্ছেন,রাস্তায় কোন ব্রেক দেয়া হবে না। খুব জোরে হিসু চেপেছে,আটকিয়ে রাখতে হবে। এই কাল্পনিক হিসু আটকান। এই যে আপনি যেভাবে কাল্পনিক হিসু আটকিয়ে রাখছেন এটাই হল পেলভিক ফ্লোর মাসলকে চেপে ধরা( Squeeze)।
প্রশ্নঃ ক্যাগেল ব্যায়াম তো বুঝলাম কিন্তু সঠিক পেশি খুঁজে বের করব কিভাবে?
-পেলভিক ফ্লোর মাসল অর্থাৎ শ্রোণী মেঝের পেশী খুঁজে বার করা এবং সেটা কিভাবে সংকোচন/শিথিল করবেন- তা কিছুটা কষ্টসাধ্য হলেও অসম্ভব নয়। তবে এক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই একজন ডাক্তার/ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে গিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিতে বলব। প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ভুল পেশীর ব্যায়াম করে ক্যাগেলের উপকারিতা লাভ থেকে বঞ্চিত হয়। যাইহোক, প্রাথমিকভাবে কিভাবে শনাক্ত করবেন তা বলি।মনে করুন,আপনি নামাজে আছেন। খুব জোরে পাদ আসল। এখন পাদ আটকানোর চেষ্টা করুন, এখানে যে পেশিটি আপনাকে পাদ আটকাতে আঁটসাঁট হয়ে গিয়ে হেল্প করছে সেটাই আমাদের কাঙ্ক্ষিত পেশি।অথবা প্রসাব করার সময় প্রসাব আটকিয়ে ফেলুন (বার বার এমনটা করবেন না,জাস্ট দুই-একবার শেখার জন্য,মূল ব্যায়ামে কাল্পনিক প্রসাব আটকাবেন)। পেটের নিচের অংশে পিছনের দিকে যে পেশীগুলো আঁটসাঁট হয়ে গেলো সেগুলোই পেলভিক ফ্লোর মাসল অর্থাৎ শ্রোণী মেঝের পেশী। এর ব্যায়ামই করব আমরা।যদি সঠিক পেশি চিহ্নিত করতে পারেন তাহলে শ্রোণীর সামনের চেয়ে পেছনের দিকে বেশি চাপ অনুভব করবেন। ভিডিওতে পেশির অবস্থান দেখানো হয়েছে। তবে আবারো বলছি এটি একটু কঠিন কাজ। ডাক্তার/ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিয়ে করবেন। ভুল পেশির ব্যায়াম করলে ফল পাবেন না।
প্রশ্নঃ ক্যাগেল ব্যায়াম কয় ধরণের?
ক্লাসিক ক্যাগেল: আপনার পেলভিক ফ্লোর পেশী অ্যাপে দেখানো সময় অনুযায়ী সংকোচিত করে রাখুন। এরপর আসা সময় অনুসারে শিথিল করে রাখুন। এভাবে যতবার দেখানো হয় ততবার ব্যায়ামটি করতে থাকুন।পালস ক্যাগেল: অ্যাপে দেখানো সময় অনুযায়ী যত দ্রুত সম্ভব আপনার পেশী একবার সংকোচন এবং একবার শিথিল করুন। তারপর ১০সেকেন্ডের বিশ্রাম নিন। এভাবে মোট ৩ বার করবেন।
প্রশ্নঃ ব্যায়ামটা দিনে কত বার করে করব?
অ্যাপের নির্দেশনা অনুযায়ী দিনে একবার করে করতে পারেন। তবে যদি সর্বোচ্চ ফল পেতে চান তাহলে বলব প্রতিদিন ৩ টা সময় (যেমনঃ সকালে,দুপুরে,রাতে) করার চেষ্টা করবেন।
এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার করা দরকার। আমাদের এপটি মূলত দিনে একবার করে ব্যায়াম করবেন এই ভেবে তৈরি করা হয়েছে(যেহেতু মানুষের অনেক ব্যস্ততা)। তাই একবার করলেই একদিনের ব্যায়াম করা হয়েছে দেখাবে এবং লেভেল চেঞ্জ হয়ে নতুন দিনে যাবে।সেটিংস ট্যাবে গিয়ে আপনি আগের লেভেল আবার চুজ করতে পারবেন।
আর লেভেল ১০ এর পর দিনে ২বার করে করবেন মেইনটেইনের জন্য, আর লেভেল ১৫এর পরে ১বার করে। তখন সময় এক সেশনের জন্যই ১০মিনিট হয়ে যাবে। দিনে ২০মিনিটের বেশি করাটা অনিরাপদ।তবে অ্যাপে দেখানো সময়ের চেয়ে বেশি করবেন না, এতে আপনার টিস্যুতে সমস্যা হতে পারে অতিরিক্ত ব্যায়ামের জন্য। মাঝে মাঝে অন্য কাজের সময় এটা প্র্যাকটিস করে নিতে পারেন।
প্রশ্নঃ এই ব্যায়াম করতে গিয়ে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে কি করব?
-ব্যায়াম করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে সাহায্য চাইতে কার্পণ্য বা লজ্জা করবেন না। নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন যাতে তারা আপনাকে সঠিক পেশী সনাক্তকরণ এবং ব্যায়ামের পদ্ধতি শিখিয়ে দিতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে বায়োফিডব্যাক প্রশিক্ষণ সাহায্য করতে পারে। এই ধরণের সেশনে, ডাক্তার বা অন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা মলদ্বার দিয়ে একটি মনিটরিং প্রোব প্রবেশ করিয়ে পুরো ব্যাপারটা মনিটরে পর্যবেক্ষণ করেন। পেলভিক ফ্লোর মাসল সংকোচন করার পর একটা মনিটরে দেখা যাবে, আপনি সঠিক পেশী সংকুচন করতে পারছেন কিনা, এবং পারলে কতক্ষণ পারছেন।
প্রশ্নঃ ব্যায়াম তো করলাম কিন্তু আমার তো এখন পায়ুপথে ব্যাথা করছে। এতে কি কোন সমস্যা হবে?
-কোন পেশির ব্যায়াম নতুন নতুন শুরু করলে ব্যাথা হওয়াটা স্বাভাবিক(ব্যাথা না হওয়াটাই অস্বাভাবিক!)। এটা ভালো ব্যাথা। ২-৩দিনের মধ্যেই চলে যায়। এই ব্যাথার অর্থ সংশ্লিষ্ট পেশিতে কাজ হচ্ছে। চিন্তা করবেন না স্বাভাবিকভাবে ব্যায়াম করুন,দ্রুতই ব্যাথা চলে যাবে। তবে ৫দিনেও ব্যাথা না কমলে ব্যায়াম বন্ধ করে দিবেন। কোন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধায়নে শিখে তারপর ব্যায়াম করবেন।
প্রশ্নঃ একবারে তিন সেকেন্ডের বেশি চেপে ধরতে পারিনা।কুঁচকে ধরলে কাঁপুনি আসে। শ্বাস স্বাভাবিক থাকেনা।
-সেটিংসে গিয়ে ব্যায়ামের লেভেল পরিবর্তন করা যায়। আপনার যদি চেপে ধরতে সমস্যা হয় তাহলে শুরুর ব্যায়ামটাই, বারবার করতে থাকবেন,যতদিন না ঠিকমত শিখে ফেলছেন।ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে গেলে ইনশা আল্লাহ এমন সমস্যা আর থাকবে না। ফোকাসটা শ্বাস নেয়ার প্রতি রাখবেন। শ্বাস চেপে ধরে ব্যায়াম করার দরকার নেই। শ্বাস নিতে গিয়ে চাপ ছুটে গেলে যাবে,চিন্তা করবেন না। ব্যায়াম করতে করতে আয়ত্বে আসবে।
প্রশ্নঃব্যায়ামটা কোন পজিশনে করব?
-শুরুর দিকে চিৎ হয়ে শুয়ে করার চেষ্টা করবেন। এতে পেলিভিক ফ্লোর মাসল সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। ২-৩মাস পরে ব্যায়ামটা ভালভাবে আয়ত্বে এলে? আপনার সুবিধামতো করতে পারবেন দাঁড়িয়ে, বসে-যেভাবে খুশি।
প্রশ্নঃ ব্যায়াম খালি পেটে করবো নাকি ভরা পেটে করব?
– যেভাবে আপনার সুবিধা হয় করতে পারো তবে খালি পেটে করলে ভালো হবে। এতে পেলভিক ফ্লোর মাসলগুলোর দিকে পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারবেন। যে কোন ব্যায়ামই আমি খালি পেটে করা রেকমেন্ডেড।
প্রশ্নঃ আমি পর্নে-আসক্ত না তারপরও কি আমার এই ব্যায়াম করার দরকার আছে?
– ভাই সাইড ইফেক্ট মুক্ত, প্রতিদিন মাত্র 10 মিনিটে করা যায় এমন একটা ব্যায়াম করতে তো ক্ষতি নেই কোন।নিজেকে একটু ফিট রাখতে ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা কমাতে করতেই পারেন।তাছাড়া যদি এখন থেকেই নিয়মিত ব্যায়ামটা করেন, ইনশাআল্লাহ, বুড়ো বয়সের প্রস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
প্রশ্নঃ ক্যাগেল ব্যায়াম করতে গেলে লিঙ্গ শক্ত ও খাঁড়া হয়ে যায়। এটা কি স্বাভাবিক?
-ঘষা লেগে শক্ত হয়ে যেতে পারে, এতে সমস্যা নেই। কিন্তু এভাবে শক্ত হয়ে যাওয়া আবার হস্তমৈথুনের ট্রিগার হিসেবে কাজ করতে পারে। তাই লুঙ্গি বা লুজ সুতি ট্রাউজার পড়ে করার চেষ্টা করবেন।ব্যায়াম করা অবস্থায় শক্ত হয়ে গেলে,ব্রেক দিয়ে নিস্তেজ করে আবার শুরু করবেন। সহজে নিস্তেজ করার জন্য বড় বড় কয়েকটা শ্বাস নিন আর ধীরে ধীরে ছাড়ুন।
প্রশ্নঃ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে ক্যাগেল ব্যায়াম কতদিন যাবৎ করতে হবে?
– নিয়মিত ক্যাগেল ব্যায়াম করলে ৩ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত প্রস্রাবের সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে। লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা সমাধান হতে ৩ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। দ্রুত বীর্যপাতের ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। টানা সুবিধা লাভ করার জন্য আমাদের পরামর্শ হল নিয়মিত ব্যায়াম করে যাওয়া।

সতর্কতা

ভালো ফলাফলের জন্য যখন সংকোচন করবেন তখন গভীর ভাবে মনোযোগ দিয়ে করবেন। অনেকেই ভুল করে পেটের বা তলপেটের, উরু, এবং নিতম্বের পেশী সংকোচন করে ফেলেন। সব সময় মনে রাখবেন ব্যায়ামের সময় শুধু পেলভিক মাসল সংকোচন করবেন, অন্য সকল পেশী একদম স্বাভাবিক থাকবে। দম বন্ধ বা ধরে রাখবেন না। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখবেন।যদি ব্যায়াম করার সময় ব্যাথা অনুভব করেন তাহলে বুঝবেন সঠিক পেশীতে হচ্ছে না ব্যায়াম। আর কখনো অতিরিক্ত করবেন না তাহলে পেশীগুলো ক্লান্ত হয়ে লক্ষ্য সাধনে ব্যার্থ হবে।ব্যায়াম শুরু করার পুর্বে অবশ্যই সকল প্রকার পর্নগ্রাফি এবং হস্তমৈথুন থেকে নিজেকে মুক্ত করবেন। ব্যায়াম করে ফল লাভ হল কিনা সেটা দেখার জন্য কখনোই হস্তমৈথুন করবেন না। বাস্তব যৌনতা এবং হস্তমৈথুন এক বিষয় নয়।
নিঃসন্দেহে আমাদের রয়েছে অভিজ্ঞ ডাক্তার যারা কিনা দেশ ও দেশের বাহিরে থেকে ডিগ্রী সম্পন্ন ।
Dr. M M Ali [Health Specialist & Nutritionist]
Dr. Rozina Akter Nilu [Specialist, Practitioners]
Dr. Jobayer