আমাদের দেশের পুরুষদের মাঝে যৌনতা বিষয়ক তেমন কোন বিশেষ জ্ঞান না থাকার কারনে এবং যৌবনকালের শুরুতে নিজেদের কতৃক কিছু ভুলত্রুটির কারনে আমাদের সমাজের অধিকাংশ পুরুষদের মাঝেই যৌবনকালের মধ্যবর্তী বয়সে প্রসাবে ক্ষয় ( semen with urine ) নামক একটি রোগ দেখা যায়। যা শূক্র ক্ষয় বা ধাতুক্ষয় পরিচিত । এই রোগটি সরাসরি শরীরের উপর কোন প্রকার প্রভাব তৈরি করে না বিধায় এই রোগটির সৃষ্টি সম্পর্কে আক্রান্ত পুরুষ মানবদেহটি অনুভবও পারে না, বরং উক্ত রোগটি খুব ধীরে ধীরে শরীরের উপর প্রভাব ফেলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয় । এক কথায় বলতে গেলে – ইহা নিজে কোন রোগ নয় কিন্তু ইহা অন্যান্য অনেক শারীরিক রোগের সৃষ্টিকারী ।
বীর্য ক্ষয়ের কারণ:
*আমাদের দেশের পুরুষদের মাঝে উক্ত সমস্যা সৃষ্টির প্রধান এবং অন্যতম কারন হল যৌবনকালের শুরুতে অধিক বেশী হস্তমৈথুন করা ।
*অল্প বয়সে অতিরিক্ত যৌন মিলন করা।
*অধিক বেশী পর্ণোগ্ৰাফি দেখা, খারাপ চিন্তা করা।
*অপুষ্টি বা ভিটামিন প্রভৃতির অভাবে অথবা দীর্ঘদিন রক্তশূন্যতা বা নানা প্রকার রোগে ভোগার ফলে ইহা দেখা দিতে পারে।
*অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে।
বীর্য ক্ষয়ের লক্ষণগুলো নিম্নরুপঃ
*রোগে আক্রান্ত রোগীর শুক্র অত্যন্ত তরল/পাতলা হয়।
*রোগী ধীরে ধীরে শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দেহের ও চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়।
*চেহারার লাবণ্যতা ও উজ্জ্বলতা কমে যায়।
*মুখ মলিন এবং চক্ষু কোঠরাগত হয়ে পড়ে।
*দেহে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ভিটামিনের প্রবল অভাব পরিলক্ষিত হয়।
*রোগীর জীবনীশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। শরীরের ওজন কমে যায় ফলে শুকিয়ে যায় এবং নানা প্রকার রোগে অতি সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
*দেহে যৌন হরমোন বা পিটুইটারি এড্রিনাল প্রভৃতি গ্রন্থির হরমোন কম *নিঃসৃত হয় যার ফলে দেহে যৌন ক্ষমতা কমে যায়।
*দৈহিক এবং মানসিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়।
*মাথার যন্ত্রণা দেখা যায়।
*আক্রান্ত ব্যক্তি সর্বদাই অস্থির বোধ করে, বসা থেকে উঠলেই মাথা ঘোরে এবং ক্ষুধা হীনতা ভাব দেখা দেয়।
*এ সময় পেনিস বা জননেদ্রীয় এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, তার শুক্রের ধারণ শক্তি একেবারে কমে যায়।
*রাত্রে স্বপ্ন দেখে শুক্র ক্ষয় হয়, আবার দিনের বেলায়ও নিদ্রাকালীন স্বপ্ন দেখে শুক্রপাত হয় ।
*প্রসাবের আগে-পরে আঠালো জাতীয় ধাতু নির্গত হয়, সমস্যা ধীরে ধীরে কঠিন আকার ধারণ করলে সামান্য উত্তেজনায় শুক্রপাত হয়।
*স্ত্রীলোক দর্শনে বা স্পর্শে শুক্রপাত ঘটে।
*পায়খানার সময় কুন্থন দিলে শুক্রপাত হয়।
*স্মরণশক্তি কমে যায়, বুদ্ধিবৃত্তি কমে যায়, অকাল বার্ধক্য এবং ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ দেখা দেয়।
ধাতু ক্ষয় রোধে যা করতে হবে :
*হস্তমৈথুন করা বন্ধ করতে হবে।
*পর্ণোগ্রাফী এড়িয়ে চলতে হবে।
*দুঃশ্চিন্তা করা থেকে বিরত থাকুন।
*যৌন বিষয়ক চিন্তা থেকে বিরত থাকুন।
*মদ্যপান বা অ্যালকোহল জাতীয় তরল পরিহার করুন।
চিকিৎসা: বীর্য ক্ষয় রোধ করার জন্য খুবই কার্যকরী ঔষধ আছে। আপনি ঘরে বসেই এই চিকিৎসা নিতে পারেন।
যে কোনো যৌন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কিউর পয়েন্ট ( CURE POINT )আছে আপনার পাশে । সুতরাং আর দেরী না করে আজই যোগাযোগ করুন।
ডাক্তার এপয়েন্টমেন্ট: +8801614167677 (সরাসরি অথবা অনলাইনে রোগী দেখা হয়)
আমাদের ঠিকানা: 1282, Purbo Monipur, Begum Rokeya Sarani Road, Mirpur, Dhaka-1216
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
