সম্প্রতি মানুষের জীবনযাপন যত উন্নত হচ্ছে ততই কমে যাচ্ছে যৌন সক্ষমতা। গবেষণায় দেখা গেছে ৬০ ও ৭০ দশকের তুলনায় এখন মানুষের যৌন ক্ষমতা অনেক কমে গেছে। বর্তমানে আগের তুলনায় মানুষ যৌনতার পেছনে অনেক কম সময় ব্যয় করে। কিন্তু কী কারণে যৌনতায় এ পরিবর্তন? সম্প্রতি গবেষকরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছেন।
বর্তমানে বহুসংখ্যক মানুষই অত্যন্ত গতিশীল ও আগ্রাসী কর্মপরিবেশের কারণে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রের এ বিরূপ পরিবেশের প্রভাব পড়ছে বেডরুমেও। এতে দেখা যাচ্ছে, কঠোর পরিশ্রমী ও সফল ব্যক্তিরা কর্মক্ষেত্রে ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করে সাফল্য পাচ্ছে। তবে তাদের ব্যক্তিগত জীবনে রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ার বিষয়টি পিছিয়ে যাচ্ছে।
কর্মপরিবেশের প্রভাব যৌনতায়:
দীর্ঘ কর্মঘণ্টা ও কর্মপরিবেশের কারণে মানুষ কর্মস্থলেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কাজের চাপে ও নানা ধরনের প্রতিযোগাতিার কারণে মানুষের মন থেকে যৌনতার বিষয়টি দূরে সরে যায়। এতে তাদের যৌনতার আগ্রহ আর থাকে না। এটি স্থগিত হয়ে যায়।
বহু রোগীই এ ধরনের যৌন সমস্যার জন্য চিকিৎসকের কাছে আসেন। তারা ক্যারিয়ারের দিক থেকেও এগিয়ে আছেন। পরস্পরকে ভালোবাসলেও তাদের মাঝে কোনো যৌনতা নেই। জীবনযাপনে পরিবর্তন যেমন ছুটি কাটাতে যাওয়ার অভাব, বহুদিন ধরে একইভাবে পানাহার, ধূমপান ও একঘেয়েভাবে কাজ করে যাওয়ার কারণে এ সমস্যা হতে পারে। আর এতে দম্পতিরা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক হারিয়ে ফেলেন।
মানসিক চাপ কী গুরুত্বপূর্ণ?
বহু মানুষকে দেখেছি যেখানে তারা অভিযোগ করছেন তাদের মাঝে যৌন সম্পর্ক ভালো নয়। এ প্রবণতা গত তিন বছর ধরে বেড়ে চলছে।
এর কারণ হিসেবে তিনিও কর্মস্থলের বাড়তি চাপকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে বলছেন। এছাড়া সব সময় ক্লান্তি, বিবাহিত জীবনের অপ্রাপ্তি, যৌন সমস্যা ও বিষণ্ণতা গুরুত্বপূর্ণ। বহু দম্পতি বলছেন তাদের বিবাহিত জীবনে বছরেরও বেশি সময় ধরে যৌনতার কোনো রেশ নেই। আর এ বিষয়টিতে তারা এমনকি কথাও বলেন না। মানসিক চাপ মানুষের যৌন আকাঙ্ক্ষাকে কমিয়ে দেয়। এতে মানসিক স্থীরতা চলে যায়, যা যৌনতায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।
সমাধান জেনে নিন:
যৌনতার এ ধরনের সমস্যার সমাধান হতে পারে মানসিক স্থিরতা তৈরি করা। এজন্য একটি উপায় হলো ইয়োগা বা যোগাসন। সাঁতার কাটা ও সঙ্গীত শোনাও হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ সমাধান। সমস্যা যদি সমাধান না হয় তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
আমরা যখন মানসিক চাপের মাঝে থাকি তখন দেহের কিছু হরমোন নিঃসরিত হয় না, যে হরমোনগুলো যৌনতার আগ্রহ তৈরি করে। এর কারণ হতে পারে মানসিক চাপের কারণে আপনার দেহের বিভিন্ন অঙ্গের বাড়তি চাপ গ্রহণ। এটি আবেগগত ও মানসিক চাপও তৈরি করে।
এক্ষেত্রে সমাধান হিসেবে দম্পতিদের উভয়েরই চেষ্টা করতে হবে। এজন্য যৌনজীবন নিয়ে বিভিন্ন রকম অভিজ্ঞতার চেষ্টা করুন। বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন অবস্থানে বা পজিশনে যৌনমিলন করুন এবং একই সময়ে যৌনমিলনে লিপ্ত না হয়ে বরং বিভিন্ন সময়ে যৌনমিলনে লিপ্ত হোন।
যদি আপনার মধ্যে উদ্বেগ থাকে যে আপনি ঠিকমতো যৌনমিলনে সক্রিয় হয়ে উঠতে পারবেন কিনা সেক্ষেত্রে সেটা আপনার যৌনসঙ্গীর সাথে আলাপ করুন। তবে যৌনমিলনের সময় এ কাজটি না করে আগে করুন।
আপনাকে কোন বিষয়গুলো যৌনকার্যে সক্রিয় করে তোলে সে বিষয়ে আপনার সঙ্গীর সাথে আলাপ করুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:
যৌনতা স্বাভাবিক করার পরামর্শগুলো যদি কাজ না করে কিংবা সমস্যা যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে চেষ্টার পরও সমাধান নাও হতে পারে। ফলে সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
যৌনতা যদি জীবন থেকে হারিয়ে যায় তাহলে তা মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। সুস্থা থাকার জন্য যৌনতার গুরুত্ব রয়েছে । এটি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে মানসিক সম্পর্কও তৈরি করে। আর যৌনতার অভাবে স্বাভাবিক সম্পর্ক বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
যে কোনো যৌন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কিউর পয়েন্ট ( CURE POINT )আছে আপনার পাশে । সুতরাং আর দেরী না করে আজই যোগাযোগ করুন।
ডাক্তার এপয়েন্টমেন্ট: +8801614167677 (সরাসরি অথবা অনলাইনে রোগী দেখা হয়)
আমাদের ঠিকানা: ১২৮২ পূর্ব মনিপুর, Opposite-আল হেলাল হাসপাতাল, বেগম রোকেয়া স্মরণী রোড, মিরপুর, ঢাকা – ১২১৬
