যন্ত্রণার স্থান বিভেদে সাধারণত ডিসপারেউনিয়া দুই প্রকারের হয়। প্রবেশের সময় ব্যথা এবং অতিরিক্ত ব্যথা।
১. প্রবেশের সময় ব্যথা হলে তাকে বলা হয় সুপারফিশিয়াল ডিসপারেউনিয়া। এক্ষেত্রে পেনিট্রেশনের সময় যোনিতে ব্যথা হয়। সাধারণত লুব্রিকেশনের অভাব, আঘাত বা সংক্রমণের কারণে এই ব্যথা হয়ে থাকে।
২. অতিরিক্ত যন্ত্রণার অপর নাম কোলিশন ডিসপারিউনিয়া। এই ব্যথা সাধারণত হয়ে থাকে গভীরভাবে পেনিট্রেশনের সময়। এক্ষেত্রে তলপেটে ব্যথা হয়। যৌনসঙ্গমের নির্দিষ্ট পদ্ধতি বা কোনও অপারেশনের পর যৌনসঙ্গম করার কারণে এই ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ব্যথার কারণ:
যোনিতে লুব্রিকেশনের অভাবকেই ডিসপারিউনিয়ার প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হলেও যন্ত্রণার একাধিক কারণ হতে পারে। লুব্রিকেশনের সমস্যা সাময়িক। কিন্তু বাকি সমস্যাগুলিকে এড়িয়ে গেলে অসুস্থতা আরও বাড়তে পারে। যেমন-
১. যৌনরোগ বা সংক্রমণ যেমন গনোরিয়া, ক্ল্যামিডিয়া, হারপিস ইত্যাদির কারণে ব্যথা হতে পারে।
২. মেনোপজের (Menopause) কারণেও যোনিদ্বারে ব্যথা হতে পারে। মেনোপজের সময় শরীরের হরমোনের নানা পরিবর্তন হয় এবং যোনিতে লুব্রিকেশনের অভাব দেখা দেয়। ফলে সেই সময় যৌনসঙ্গম করলে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক।
৩. যৌন উত্তেজনা কমে গেলে যৌনসঙ্গমের সময় যন্ত্রণা হতে পারে এবং এটি হতে পারে যে কোনও বয়সেই।
৪. স্ত্রীদেহে যোনির পেশি অতিরিক্ত কঠিন হলেও যৌনসঙ্গমের সময় যন্ত্রণা হতে পারে।
৫. বংশগত কারণে কোনও অসুস্থতা বা অ্যালার্জি থাকলে যৌনসঙ্গমের সময় যন্ত্রণা হতে পারে।
৬. নির্দিষ্ট কন্ডোম, সাবান, শ্যাম্পু ইত্যাদির কারণে সংক্রমণ হয়েও ব্যথা হতে পারে।
৭. পুরুষদের ক্ষেত্রে যৌনরোগ ছাড়াও, যৌনাঙ্গের পেশির কাঠিন্যের কারণে যন্ত্রণা হতে পারে।
৮. কোনও কারণে যৌনাঙ্গে আঘাত লাগলে ব্যথা হতে পারে।
প্রস্টেট গ্রন্থির প্রদাহ বেড়ে গেলে ব্যথা হতে পারে।
৯. যৌন উত্তেজনা বা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ইজ্যাক্যুলেশন না হলেও যন্ত্রণা হতে পারে।
রোগের লক্ষণ:
১. ডিসপারেউনিয়ার প্রধান লক্ষণ যৌনসঙ্গমের সময় যন্ত্রণা। ব্যথা হতে পারে যোনিতে, পুরুষাঙ্গে কিংবা তলপেটে। ব্যথার পাশাপাশি হতে পারে জ্বলুনি, অস্বস্তি, চুলকানি ইত্যাদি।
২. যৌনসঙ্গমের পর যৌনাঙ্গ সংকুচিত হয়ে যেতে পারে।
৩. যৌনসঙ্গমের সময় অসহ্য যন্ত্রণা হতে পারে।
৪. গভীরভাবে পেনিট্রেশনের সময় যন্ত্রণা হতে পারে।
চিকিৎসা:
সমস্যা হলে লজ্জা না পেয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। তিনি পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক ওষুধ নেওয়ার পরামর্শ দেবেন। তা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলুন।
ডিসপারেউনিয়ার চিকিৎসা হয় রোগের লক্ষণ এবং কারণ অনুযায়ী। অনেক সময় শারীরিক কারণে এই অসুখ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ওষুধেই কাজ হয়ে যায়। কিন্তু মানসিক সমস্যার কারণে রোগ হলে তার জন্য আলাদা চিকিৎসা করা দরকার।
পেশির কোনও সমস্যা থাকলে যোগাসনের মাধ্যমে তা ঠিক হতে পারে। সেটিও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে করতে হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রোগ চেপে রাখলে তার ফল মারাত্মক হতে পারে।
যে কোনো যৌন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কিউর পয়েন্ট ( CURE POINT )আছে আপনার পাশে । সুতরাং আর দেরী না করে আজই যোগাযোগ করুন।
ডাক্তার এপয়েন্টমেন্ট: +8801614167677 (সরাসরি অথবা অনলাইনে রোগী দেখা হয়)
আমাদের ঠিকানা: ১২৮২ পূর্ব মনিপুর, Opposite-আল হেলাল হাসপাতাল, বেগম রোকেয়া স্মরণী রোড, মিরপুর, ঢাকা – ১২১৬
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
