আইবিএস হলো মানবদেহের একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা যা পেটে ব্যথা (অ্যাবডোমিনাল পেইন) এবং ঘন ঘন পায়খানায় (টয়লেটে) ছুটে যাওয়ার ইচ্ছার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এটি একটি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ইন্টেস্টাইন রোগ (ভাওয়েল ডিজিজ)। অধিকাংশ মানুষের মধ্যে এ রোগটির লক্ষণ অল্প অল্প দৃষ্টিগোচর হয়ে থাকে। এটির প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য হলো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল বিশৃঙ্খলা। পেটের নিম্নভাগ হালকা ব্যথা (ডিসকম্পোর্ট) সহ ঘন ঘন মল (স্টুল) বের করে দেওয়ার প্রবণতা। বিভিন্ন সময়ে মলের পরিমাণ ও ঘনত্ব বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। কখনো কোষ্টবদ্ধ (শক্তমল) আবার কখনো উদরাময় (নরম বা পানির মতো তরল মল)। অনেক সময় মল বের হওয়ার আগে কিংবা পরে যথেষ্ট পরিমাণ মিউকাস ক্ষরণ হয়ে থাকে।
আইবিএসের প্রকারভেদ:
যে সমস্ত লক্ষণ খুব ঘন ঘন দেখা দেয় তার ভিত্তিতে এ রোগটি নিম্নরূপে শ্রেণী বিভক্ত করা হয়।
১. স্প্যাস্টিক কোলন: পেটে ব্যথা এবং কোষ্টবদ্ধতা এটির প্রধান বৈশিষ্ট্য। সাধারণত পেটের বামপাশে অস্বস্তি থাকে এবং টয়লেট সেরে নেওয়ার পর কিছুটা শান্তি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে অনেক সময় কোষ্টবদ্ধতার পর উদরাময় দেখা যেতে পারে।
২. ফানসান্যাল ডায়রিয়া: ঘন ঘন উদরাময় হওয়ার প্রবণতা। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে খুব ভোর বেলায় ঘুম থেকে জেগে ওঠার পরপরই পায়খানায় ছুটে যেতে হয়। মল পাতলা পানির মতো হতে পারে। এক্ষেত্রে রোগী দীর্ঘ সময় পর্যন্ত টয়লেটে যাতায়াত করে থাকে।
৩. ফোরগাট ডিসমোটিলিটি: পেটে প্রচণ্ড গ্যাস হওয়া এবং খাবার গ্রহণের পরে পেটে অস্বস্তিবোধ। প্রায়ই পেট ফেঁপে আকারে বড় হয়ে থাকে এবং ডানপাশে ব্যথা হয়।
আইবিএস কি কি কারণে হয়ে থাকে:
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এখনো এ রোগের প্রাইমারি বা প্রাথমিক কারণ খুঁজে পায়নি। তবে সেকেন্ডারি অনেক বিষয় এ রোগ জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকাংশে দায়ী বলে গবেষণায় পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে একটা বিষয় সাধারণ মানুষের জানা থাকা দরকার। সেটি হলো- মানবদেহের নার্ভ সিগন্যাল ও হরমোন ব্যবহারের মাধ্যমে ইন্টেস্টাইন ও ব্রেইনের মধ্যে গভীর সংযোগ বিদ্যমান। ওই সিগন্যালগুলো বাউয়েল ফানকসান ও লক্ষণসমূহকে প্রভাবিত করে। মানুষ যখন প্রচণ্ড মানসিক চাপে থাকে তখন নার্ভগুলো অত্যন্ত একটিভ বা কর্মদীপ্ত হয়ে যায়। ফলে ইন্টেস্টাইন বা অন্ত্রসমূহ সংবেদনশীল হয়ে পড়ে।
এ রোগের উল্লেখযোগ্য সেকেন্ডারি কারণসমূহ উপস্থাপন করা হলো:
১. মানসিক চাপ
২. বিভিন্ন খাদ্য হজম না হওয়া/এলার্জি
৩. খাদ্যাভ্যাস হঠাৎ পরিবর্তন করা (অতিরিক্ত গরম কিংবা ঠাণ্ডা খাবার গ্রহণ)
৪. অনিয়মিত খাদ্য সঠিক সময়ে গ্রহণ না করা
৫. দীর্ঘ সময় পেট খালি রাখা এবং গ্যাসে পরিপূর্ণ হওয়া
৬. পরিমিত ঘুম না হওয়া
৭. পর্যাপ্ত পানি পান না করা
৮. হঠাৎ বড় কোনো মানসিক আঘাত, ভয় বা শোক
৯. নার্ভাস সিস্টেমের দুর্বলতা
১০. ভীষণ ক্রোধ এবং উদ্বেগ
১১. কোলন বা মলাশয়ের মধ্যে অস্বাভাবিক গাঁজন প্রক্রিয়া
১২. অতিরিক্ত অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ ব্যবহার। যেমন- অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট (বিষন্নতার জন্য), সরবিটল (ফলজাত চিনি যা দিয়ে সিরাপ জাতীয় ওষুধ তৈরি হয়)
১৩. মাসিক ঋতু চলাকালীন হরমোনাল পরিবর্তন হওয়া
যে কোনো যৌন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কিউর পয়েন্ট (Cure Point Consultancy) আছে আপনার পাশে। সুতরাং আর দেরী না করে আজই যোগাযোগ করুন।
ডাক্তার এপয়েন্টমেন্ট: 01614-167677, 01616-045632 (সরাসরি অথবা অনলাইনে রোগী দেখা হয়)
আমাদের ঠিকানা: ১২৮২ পূর্ব মনিপুর, Opposite-আল হেলাল হাসপাতাল, বেগম রোকেয়া স্মরণী রোড, মিরপুর, ঢাকা – ১২১৬
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
