শরীর এবং মনের সঠিক ব্যালেন্স হল সুস্থ এবং সুন্দর যৌনতা । শুধু তাই নয় সুন্দর দাম্পত্যের চাবিকাঠি ও এখানেই নিহিত। সুন্দর যৌনতা শুধুমাত্র সুন্দর সম্পর্কের ভিত রচনা করে তাই নয় । কিন্তু একদিকে যেরকম জীবনীশক্তি বাড়িয়ে দেয় অন্যদিকে তেমনই যৌনতার মাধ্যমে মানসিক অবসাদ ও অনেক ক্ষেত্রে দূর হয়ে যায় কিন্তু।
মহিলাদের মধ্যে সাম্প্রতিক কালে অনেক সময়। অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রেই এটা প্রমাণিত হচ্ছে কেন কমে যাচ্ছে মহিলাদের যৌন ইচ্ছা? এটা কি মানসিক নানা শারীরিক সমস্যা? বা এর থেকে বেরিয়ে আসবার উপায়টা কী? এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে জানতে আজকে আমি উপস্থিত হয়েছি।
আজকের দিনে মহিলাদের ক্ষেত্রে যেটা দেখা যায় যে অনেক ক্ষেত্রে। তাঁদের যৌন ইচ্ছা কমে যাচ্ছে। তারা তাদের পার্টনারের সঙ্গে যে যৌন সম্পর্ক সেটা অনেক সময় করতে চান না। প্রথমত জানতে চাইবো যে এর কারণটা কী? হ্যাঁ, আমরা বেশ কিছু পরিস্থিতিতে দেখি যে, এই জাতীয় সমস্যা নিয়ে কাপলরা আমাদের কাছে এসে থাকে।
এটা কিন্তু মেডিক্যাল সাইন্সে প্রমাণিত যে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে কিন্তু হ্যাপিনেস হরমোন ব্রেন থেকে নিঃসরণ হয় এবং তা হলেই জিনিসটা কেন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ আর থাকছে না কেন সেই জায়গা থেকে সকলে সরে আসছে তো আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যারা তরুণ দম্পতি আমাদের ডাক্তারদের কাছে অনেক সময়েই আসেন, তাদের ক্ষেত্রে অনেকসময় হচ্ছে যে নারী এবং পুরুষ দুজনের চাহিদা মিলছে না। দুজনের একে অপরের থেকে চাহিদাটা একেক রকম এবং সেই জায়গাতে মিলছে না কোথাও ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এবং একজন তখন সেই সম্পর্ক থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। হয়তোবা কোথাও গিয়ে একটি যৌন সম্পর্কের যে এটা প্রথম ধাপ যে মানসিক চিন্তা ভাবনা নিজের পার্টনারের সাথে মানসিক চিন্তা বা তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা কী রকম হতে পারে ভাবা বা ধীরে ধীরে সম্পর্কের উত্তেজনা বাড়ানো সেই দিকটা হয়তো এখনকার যে ধরনের লাইফস্টাইল আমরা দেখছি তাতে করে অনেকেই সরাসরি সেই জায়গাটা বাদ দিয়ে যাচ্ছে।
তো সেই ফোরপ্লে র অভাবে অনেক সময় হচ্ছে যে পুরুষ সঙ্গী যিনি তিনি হয়তো যথেষ্ট উত্তেজিত। এবং তিনি চাইছেন যে সোজাসুজি ক্লাইম্যাক্স এ আসতে। কিন্তু যিনি নারী তার হয়তো যথেষ্ট উত্তেজনার সঞ্চার হয়নি এবং তার পক্ষে পুরো পরিস্থিতিটাই অত্যন্ত পেন ফুল হয়ে যাচ্ছে। বেদনাদায়ক হয়ে যাচ্ছে এবং সেইজন্য সেই জায়গা থেকে তিনি সরে দাঁড়াচ্ছে না। এতটা ব্যাথা সহ্য করে আমি কোনও আনন্দ উপভোগ করতে পারছি না। এটা জিনিস। দ্বিতীয় জিনিস হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে যেটা হয় যে আমরা এখনও বলতে পারেন সামাজিক ভাবে পুরোপুরি সেক্স এডুকেশন জিনিসটা চালু করে উঠতে পারিনি।
সেই জায়গায় কোথাও প্রচারের বা জ্ঞানের অভাব রয়েছে তো যখন একটি ছেলে বা একটি মেয়ে কিছু তথ্য জানতে চাইছে, পুরুষ ও নারীর মিলন কী রকম হওয়া উচিত বা কী আশা করা উচিত সেখানে তো তাঁর ক্ষেত্রে। কিন্তু এই তথ্যের যে পথ গুলো এগুলো বড়ই অদ্ভুত, সে হয়তো গিয়ে কোথাও পাড়া প্রতিবেশী থেকে যাচ্ছে বা কোনও বন্ধুর কাছে একটু ফিসফিস করে সোনা উড়ো কথা অথবা সে হয়ত সোজাসুজি পর্নোগ্রাফি দেখছে এবং সেখানকার সে বিকৃত যৌনতা সে হয়তো পরবর্তীকালে।
তাঁর পার্টনারের সাথে সে সেই একই আচরণ করছে এবং সেই জায়গা থেকে এই যৌন সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ এটা খুব কমন লি আমরা দেখি এটা ছাড়া আর জিনিস বলব যে, অনেক সময়ে একটি দম্পতি তাঁরা হয়তো সুখী দাম্পত্যজীবন পালন করছেন। যৌনসম্পর্ক স্বাভাবিক। এবার তাঁরা ভেবেছেন যে আমরা একটি সন্তান ধারণের চেষ্টা করব। সেই জায়গা থেকে যখন সামাজিক চাপ তৈরি হতে থাকে, আত্মীয়রা বারবার জিজ্ঞাসা করছেন, নিজেরাও ভাবছি যে হ্যাঁ, এবার হলে ভাল হয়। তখন না যৌন সম্পর্কটা কোথায় গিয়ে যেন পরীক্ষার খাতা লেখার মতো হয়ে যায় সেই জায়গা থেকেও।
কিন্তু অনেক সময় নারী বা পুরুষের মধ্যে অনীহা এসে যেতে পারে। যেটাকে আমরা পারফরম্যান্স অ্যংজাইটি বলি সেটা থেকে অনেকসময় কিন্তু যৌন সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় । প্রচুর পেশেন্টকে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হন কাছে তাঁদের কাউন্সেলিংএর জন্য। মনে করেন হয় এটা কি মানসিক সমস্যা না হয় শারীরিক সমস্যা। হ্যাঁ, এই যৌনতার সমস্যাটা কিন্তু অনেকটা অংশেই মানসিক। শারীরিক সমস্যা নিশ্চয়ই থাকে। কিন্তু যদি বলেন যে যতজন আমাদের কাছে আজ অবধি এসেছেন৷ তার মধ্যে হয়তো 70% মানুষের হচ্ছে মানসিক সমস্যা ।
তাই আপনার মহিলা সঙ্গীর মানসিক অবসাদ দূর করতে এবং যৌন জিবনকে সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে তার মানষিক স্বাস্থর দিকে নজর দিতেহবে।
যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলঃ Medical Science Discussion -Cure Point Consultancy.